জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছরের দণ্ড বাতিল চেয়ে করা আপিলের শুনানি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে। আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিন নির্ধারণ করেছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, বিচারিক আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে দেওয়া হয় ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর আপিল বিভাগ তার লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি, তার ১০ বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেন এবং আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেন।
মঙ্গলবার শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দাবি করেন যে মামলাটিতে আইনগত প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। তাদের মতে, এ মামলা মৌখিক ও প্রমাণভিত্তিক নয়, বরং এটি অনুমাননির্ভর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মঙ্গলবারের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন। এর আগে, মামলার আরেক আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হলে, শুনানির তারিখ ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছিল।
গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেন। এই প্রেক্ষাপটেই মামলাটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।