|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১৮ অপরাহ্ণ

শান্তা হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ৭২ ঘন্টার সময় চাইলেন থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ


শান্তা হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে ৭২ ঘন্টার সময় চাইলেন থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ


সাদ্দাম উদ্দিন রাজ,নরসিংদী জেলা:-

 

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগরে শান্তা ইসলাম (২৪) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি সোহেলসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তারা মানববন্ধন ও রায়পুরা থানা ঘেরাও করে।
 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা পৌরসভা মাঠে এ মানববন্ধন করা হয়। পরে পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি রায়পুরা বাজার হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রায়পুরা থানা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে থানা ঘেরাও করে অফিসার ইনচার্জের সামনে আসামী গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
 

মানববন্ধনে নিহতের স্বামী ও স্বজনরা বলেন, শান্তা ইসলাম ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে তাকে সন্ত্রাসী সোহেল বাহিনীরা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনার ৯ দিন পার হয়ে গেলেও সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। সে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
 

অন্যদিকে, শান্তা হত্যার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই হত্যাকারীরা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ মোর্শেদ খানের বাড়ি থেকে একটি গরু লুট করে ভুরিভোজ করেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
 

মামলার বাদী ও নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ বলেন, সোহেল ও তার বাহিনীরা বাড়িঘর লুটপাট করে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শান্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। শান্তা বিএ অনার্স পাস করেছে। কিছুদিন পরই তার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। শান্তাকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
 

রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আদিল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি শান্তাকে হত্যা করেছে সোহেল। তাকে গ্রেপ্তার করতে রায়পুরা থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়াও রায়পুরা থানার ১০ জন এসআই ও ৬ জন এএসআইদের নিয়ে একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টার সময় চেয়ে মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করার প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশের এই কর্মকর্তা।
 

তিনি আরও বলেন, দুর্গম চর এলাকা সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য। সারাদেশে অপারেশ ডেভিল হান্টের আওতায় বিশেষ অভিযান চলছে। চর এলাকায় যৌথ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হচ্ছে। সর্বশেষ র‌্যাব আমাদের সাথে যৌথ অভিযান পরিচালনার জন্য রাজি হয়েছে।
 

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর রায়পুরার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার সময় গুলিতে নিহত হয় শান্তা ইসলাম। সে ওই এলাকার শাকিল খানের স্ত্রী। ঘটনার একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা যুবদল সদস্য ও শ্রীনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল মিয়াকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা আহসান উল্লাহ।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫