আর্থিক অস্থিতিশীলতা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে: আইএমএফ

প্রকাশকালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২৭ অপরাহ্ণ ২৯৮ বার পঠিত
আর্থিক অস্থিতিশীলতা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে: আইএমএফ

ন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে। সংস্থাটি ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্ববর্তী পূর্বাভাস থেকে সরে এসেছে। এমনকি তারা একটি সতর্কবার্তাও দিয়েছেন। সংস্থাটির মতে, উচ্চ সুদের হার বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে ধীর করতে পারে। একই সময়ে অস্থিরতা আউটপুটকে মন্দার কাছাকাছি ঠেলে দিতে পারে। খবর রয়টার্সের।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটপুটের সর্বশেষ প্রতিবেদনে আইএমএফ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি আঞ্চলিক ব্যাংকের ব্যর্থতা এবং সুইস ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের অস্থিতিশীলতা পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। বর্তমানে সব ব্যাংকেই এই ঝুঁকি রয়েছে। এই অস্থিতিশীলতা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দিকে পরিচালিত করছে।


আর ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ অনিশ্চয়তার আরেকটি স্তর যোগ করেছে। বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সপ্তাহব্যাপী বৈঠক চলছে। বৈঠকে আইএমএফ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আর্থিক ব্যবস্থায় অস্থিতিশীলতা বেড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা তীব্রতর হচ্ছে।

আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আর আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধি হবে তিন শতাংশ। তবে এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছিল, ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।


গত জানুয়ারিতে আইএমএফ ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। যাইহোক, প্রবৃদ্ধি এই সময়ের অনুমান থেকে শূন্য দশমিক এক শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেতে পারে। এর মূলে রয়েছে কিছু বৃহৎ অর্থনীতির দুর্বল কর্মক্ষমতা।

বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির দুঃসংবাদ সত্ত্বেও মার্কিন অর্থনীতিতে সুখবর দিয়েছে আইএমএফ। গত জানুয়ারিতে কোম্পানিটি মার্কিন প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৪ শতাংশ বলে জানিয়েছিল। তবে, তারা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এক-দশমাংশ থেকে ছয় শতাংশ বাড়িয়েছে।


তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশে নামিয়ে এনেছে। জাপানেও একই অবস্থা। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

২০২৩ সালে মুদ্রাস্ফীতি হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, গত জানুয়ারিতে পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএমএফ। তবে এবার তা বাড়িয়ে ৫ দশমিক ১ করা হয়েছে। জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কম থাকলেও অনেক দেশে দাম এখনও শীর্ষে। 


আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভার গুয়েরিনচাস বলেন, 'মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের মুদ্রানীতির স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।'