|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৪২ অপরাহ্ণ

ভূঞাপুরে ৯ কোটি টাকার বালু মাত্র ৫০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি


ভূঞাপুরে ৯ কোটি টাকার বালু মাত্র ৫০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি


ঢাকা প্রেস,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:-

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সিরাজগঞ্জ বালু মহাল থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৯ কোটি টাকার নির্মাণ বালুকে অবৈধ ঘোষণা করে জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এই বালু মাত্র ৫০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম।

 

গত ৬ জানুয়ারি ভূঞাপুরের নিকরাইল ইউনিয়নের পলশিয়া গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হক মাসুদের জমিতে অভিযান চালায় প্রশাসন। সেখানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট বালু মজুত করা ছিল। অভিযানের পরদিনই এই বালু স্থানীয় জহুরা এন্টারপ্রাইজের কাছে গোপন নিলামে মাত্র ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ করেন মাসুদুল হকের পরিবার।

 

সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেফালী মাসুদের দাবি, জব্দ করা বালুকে নিম্নমানের বালু হিসেবে দেখিয়ে এর দাম কমিয়ে ১ টাকা ৮৫ পয়সা প্রতি ঘনফুট নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ এই বালুর ক্রয়মূল্য পরিবহনসহ ৮-৯ টাকা প্রতি ঘনফুট। স্থানীয় বাজারে এমন বালুর দাম আরও বেশি।

 

নিলামের জন্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী, নিলামের বিজ্ঞপ্তি দুই জাতীয় দৈনিক, একটি স্থানীয় পত্রিকা, এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি মাইকিং করার নিয়ম রয়েছে। তবে এসব নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, নিলাম সম্পর্কে কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি এবং ঘটনাস্থলে কোনো নিলাম কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

 

জব্দ করা বালুর পরিমাণ ও মান নির্ধারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি বলে স্থানীয়দের দাবি। উপজেলা প্রকৌশলী ও সার্ভেয়ার দাবি করেন, বালুর ধরন ও পরিমাণ আনুমানিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের মতে, কোনো সুনির্দিষ্ট মাপজোখ করা হয়নি।

 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম দাবি করেন, আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালু জব্দ করে নিলাম দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বালু পরিবহনে নিষিদ্ধ বাল্কহেড ব্যবহৃত হওয়ায় এটি অবৈধ এবং প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জমিতে বালু মজুত করাও আইনের লঙ্ঘন।

 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

এই ঘটনার পর ভূঞাপুরজুড়ে এ নিয়ে চর্চা চলছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার দাবি জানিয়েছেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫