চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭ চলচ্চিত্রকারকে সম্মাননা প্রদান

প্রকাশকালঃ ১৯ জুন ২০২৩ ০৩:২৯ অপরাহ্ণ ১৫৪ বার পঠিত
চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭ চলচ্চিত্রকারকে সম্মাননা প্রদান

ত শনিবার শেষ হয়েছে ‘চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র উৎসব’। ১০ দিনব্যাপী এ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩৭ চলচ্চিত্রকারকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এ সমাপনী অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের ৬০ বছর ও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী উদ্‌যাপনের একটি অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছিল এ উৎসব।

উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, চলচ্চিত্রকার ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী মোরশেদুল ইসলাম। ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমির সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনায় ছিলেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন।

 
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ষাট ও সত্তরের দশকে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে যুক্ত হই। চলচ্চিত্র নিয়ে আমাদের বোধ ও মনন গড়ে তোলার প্রধান স্কুল ছিল চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের দেশের চলচ্চিত্র গুণগত ও শৈল্পিক মানে উন্নীত হয়েছে। চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের মধ্য থেকেই বেরিয়ে এসেছে এ দেশের সেরা চলচ্চিত্রকারগণ। এটা অনেক বড় একটি অর্জন। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে হবে এবং এ জন্য আমাদের আরও অনেক বেশি সহযোগিতা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের আমিও একজন সংসদকর্মী। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনই আমাদের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ও বিকাশের মূল চালিকাশক্তি। আমি নিজে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সব সময় চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকব।’

৮ জুন শুরু হওয়া ১০ দিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবে ৩৭ চলচ্চিত্রকারের ৪৩টি নির্বাচিত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল নির্মিত কাহিনীচিত্র ‘চিত্রা নদীর পারে’।