সভায় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং মাদকবিরোধী সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আলোচনায় কুড়িগ্রামকে মাদকমুক্ত করতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা জরুরি।
জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা বলেন, “ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়ের সঙ্গে কুড়িগ্রামের প্রায় ২৭৮ দশমিক ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক নদ-নদী। এই ভৌগোলিক বাস্তবতা মাদকের অনুপ্রবেশ রোধে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।"
তিনি আরও জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। জেলাজুড়ে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান, সভা-সমাবেশ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মাহবুবুল হক, সেনাবাহিনীর কুড়িগ্রাম ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর আহাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কুদরত-ই-খোদা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জামায়াতে ইসলামীর জেলা সেক্রেটারি নিজাম উদ্দিন, পুলিশের এএসপি মাসুদ রানা, মাদক প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সভা শেষে মাদকবিরোধী কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনারও প্রাথমিক রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়।
সূত্র: বাসস।