|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:২৪ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:২৬ অপরাহ্ণ

নাটোরে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার কারণে সংঘর্ষ, নারীসহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ


নাটোরে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার কারণে সংঘর্ষ, নারীসহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ


নাটোরের সিংড়ায় জমিতে পানি সেচ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বন্দুকের গুলিতে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রাতেই আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদমকুড়ি গ্রামে জমিতে পানি সেচ দেওয়াসহ মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তিন দিন আগে, কদমকুড়ি গ্রামের প্রয়াত চান্দু ফকিরের ছেলে ওয়াদুদ ফকিরের জমিতে পানি সেচ বন্ধ করে দেন রতন আলী ও তার ভাই বিএনপি নেতা মানিক হোসেন। এর পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
 

শনিবার রাতে রতন আলী ও মানিক হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন লোক বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। তাদের ছোড়া গুলিতে একপক্ষের ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। বন্দুকের গুলির শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে ইব্রাহিম মন্ডল (৩২), এলাহী মন্ডল (২৮), হনুফা বেগম (৫২), আল আমিন মন্ডল (১৬), নাসিম আলী (২৫), সুজন আলী (১৭), শাকিল (১৮), রফিকুল ইসলাম (৪৮), ফরিদ আলী (৩৮), সুয়েল আলী (২৪), আব্দুল আজিজ (৪৯), মান্নান হোসেন (৫৮), শাহাদত আলী (৩৯) ও মাসুদ রানা (৩২) রয়েছেন।
 

গুলিবিদ্ধ আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে পানি সেচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, আর সেটি থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়। পরে মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়েও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এই দুটি বিষয় নিয়েই রতন ও মানিক হোসেনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বন্দুক নিয়ে আচমকা গুলি চালায়।
 

আহতের স্বজন মামুন হোসেন বলেন, প্রায় ২০ বছর ধরে কদমকুড়ি জামে মসজিদ কমিটি দখল করে রয়েছেন রতন আলী, আবুল হোসেন ও এছার উদ্দিন। দীর্ঘ সময়ে মসজিদের কোনো উন্নয়ন হয়নি। রতনের কাছ থেকে বন্ধক রাখা জমিতে পানি দিতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। রতন ও মানিক দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে।
 

এ বিষয়ে কদমকুড়ি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রতন আলী ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেওয়ায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
 

অভিযুক্ত আরেক ভাই, ডাহিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘এখানে মসজিদের হিসাব-নিকাশের কোনো ঘটনা নেই। জমিতে পানি সেচ দেওয়াতেই এই ঘটনার সূত্রপাত। আমি সিংড়ায় থাকি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি শুনেছি, কে বা কারা রাতে বন্দুক দিয়ে গুলি করেছে।’
 

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, জমিতে পানি সেচ দেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। বন্দুকের গুলিতে ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। চার জনকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুক উদ্ধারে অভিযান চলছে এবং তদন্ত চলছে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫