শুল্ক ইস্যুতে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৮ জুলাই ২০২৫ ০২:০৮ অপরাহ্ণ   |   ২৫ বার পঠিত
শুল্ক ইস্যুতে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক:-

 

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত বার্তা দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
 

চিঠির একটি কপি ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ করেছেন তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে চিঠির সারাংশ তুলে ধরা হলো:

চিঠির মূল বিষয়বস্তু:

চিঠির শুরুতে ড. ইউনূসকে ‘মি. ইউনুস’ সম্বোধন করে ট্রাম্প লিখেছেন—
“এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য সম্মানের বিষয়। এটি আমাদের পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রতিফলন এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি।”

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়, তবে সেটি যেন হয় আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য ভিত্তিতে। তার ভাষায়, “বাংলাদেশের শুল্ক, অ-শুল্ক নীতিমালা ও বাণিজ্য বাধার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে একতরফা বাণিজ্য চলে আসছে, যা আর গ্রহণযোগ্য নয়।”

শুল্ক আরোপের কারণ ও ঘোষণা:

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের অংশ হিসেবে, আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে বাংলাদেশি যেকোনো পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এই শুল্ক বর্তমানে কার্যরত শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে কার্যকর হবে।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন যে, যদি ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করে, সেগুলোর ওপরও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।

বিকল্প প্রস্তাব:

চিঠিতে ট্রাম্প একটি বিকল্প পথও রেখেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনে অংশ নিতে চায়, তাহলে তাদের কোনো শুল্ক দিতে হবে না। বরং তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করে দেওয়া হবে।”

তবে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, “যদি বাংলাদেশ তার পক্ষ থেকে শুল্ক হার বাড়ায়, যুক্তরাষ্ট্রও সমান হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে।”

শেষাংশে বার্তা:

চিঠির শেষাংশে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের শুল্ক ও অশুল্ক নীতিমালাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির জন্য দায়ী। এই ঘাটতি আমাদের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অংশীদার হতে চেয়েছে এবং এখনও সে আগ্রহ রয়েছে। তবে শুল্ক নীতিমালায় পরিবর্তন আনলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

চিঠির শেষ লাইনে ট্রাম্প লেখেন,
“আপনি কখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হতাশ হবেন না। আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।”
ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্র।