রোববার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে মিরপুর ডিওএইচএসের ৭ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের ১১ নম্বর রোডের ৮০৭ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটে। রাতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির লক্ষ্যবস্তু ছিল অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলীর বাসা, যেখানে বোরহান নামের এক ব্যক্তি ভাড়া থাকতেন। অভিযোগ ছিল, ওই বাসায় অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট ইফতেখার ও কর্পোরেল মুকুলসহ পাঁচজন 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য' সেজে বাসায় প্রবেশ করেন।
বাসায় বোরহানকে না পেয়ে তারা ঘরের মূল্যবান সামগ্রী ব্যাগে ভরে নিতে শুরু করে। কিন্তু সন্দেহ দানা বাঁধে তাদেরই এক সহযোগী—মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার বাসিন্দা 'সোর্স' হারুনুর রশিদের মধ্যে।
সন্দেহভাজনদের গতিবিধি অসঙ্গত মনে হলে তিনি দ্রুত একটি মোটরসাইকেলে লে. ইফতেখারের প্রাইভেট কার অনুসরণ করেন এবং পথে চিৎকার করে "ডাকাত যাচ্ছে" বলে আশপাশের জনসাধারণকে সতর্ক করেন।
এ সময় এনডিসি চেকপোস্টের কাছে একটি গাড়ি তাদের পথ আটকে দিলে ডাকাত দলের গাড়ি থেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে চারজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পুলিশ জানায়, আটক চারজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া পলাতক চারজনকে ধরতে অভিযান চলছে।