|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৮ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:১৫ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২৯ জুলাই ২০২৪ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ

খুলনায় গত ১২ দিন ধরে তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়


খুলনায় গত ১২ দিন ধরে তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয়


খুলনায় গত ১২ দিন ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কার্যালয়। পাশাপাশি গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় কার্যালয়মুখীও হচ্ছেন না দলটির নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে, নাশকতার নতুন ও পুরানো মামলায় ১২ দিনে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশ বলছে, নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আর দলীয় কার্যালয়েও তালা দেয়নি পুলিশ।

 

বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং কারফিউ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন তারা। গত ১৭ জুলাই পুলিশ নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের দুই পিয়নকে তালা লাগিয়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর তারা তালা দিয়ে চলে যান। তারপর থেকেই দলীয় কার্যালয়টি তালাবদ্ধ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। গেলেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি দলীয় কার্যালয়ের পাশের চায়ের দোকানগুলোতে এসেও পুলিশ নেতাকর্মীদের খোঁজাখুঁজি করছে।

 

এদিকে, নাশকতার নতুন তিন মামলা এবং পুরানো মামলায় এখন পর্যন্ত শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি রাতে নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মহানগর বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার পুলিশ সদস্যরা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার মুন্সিপাড়া এলাকার বাসভবনে যান। তিনি বাড়িতে নেই জানানোর পরও তারা দরজা ভেঙে তাকে না পেয়ে পরে পুলিশ লাইন এলাকায় অবস্থিত মনার শ্বশুর বাড়িতে যান। এরপর পুলিশ ওই বাড়িরও দরজা ভেঙে ফেলে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়।

 

তবে খুলনা থানার ওসি কামাল হোসেন খান অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়েছে। ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, গ্রেপ্তার এড়াতে রাতে বাড়িতে থাকছেন না স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী। অনেকে মোবাইল নম্বরও পরিবর্তন করে ফেলছেন।

 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী অভিযোগ করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে খুলনায় আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। অথচ পুলিশ নাশকতার ৩টি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। ফলে দলের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কোটা সংস্কারের আড়ালে যারা নাশকতা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হচ্ছে না।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫