তারেক রহমান: সরকারের কিছু বক্তব্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "আমরা লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, যা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। আমরা কোনো অস্থিতিশীলতা চাই না। আজকের এই সম্মেলনে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে এবং আমরা আশা করছি, সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে। তবে নির্বাচন বিলম্ব হলে, যারা এর সুবিধা পেতে চায়, তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি শক্তিশালী হবে এবং তৃণমূলে আমাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে। সেজন্য অনেকেই বিএনপির প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্র করছে।"
তিনি আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, "পলাতক স্বৈরাচার বাংলাদেশে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রশাসনকে ধ্বংস করা হয়েছে। গত ১৫-১৬ বছর ধরে গুম, খুন, হামলা, মামলা এবং আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি যেতে বাধ্য হয়েছে। তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বিএনপি জনগণের দল, এবং আমরা জনগণের কথা বলি। অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।"
তারেক রহমান বলেন, "বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। গণতন্ত্রের চর্চা যত বেশি করতে পারব, তত বেশি দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে।"
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন ব্যক্তি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। বাংলাদেশে আমরা অস্থিরতা চাই না। বহু অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দেশ চলেছে, তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অস্থিরতা দ্রুত দূর করা সম্ভব।"
তারেক রহমান আরও বলেন, "মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, তা দলের মধ্যে হোক বা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আমরা বসে আলোচনা করব এবং দেশের শান্তি নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেব, যাতে মানুষ বিভক্ত না হয়।"
এর আগে, বিকেল ৩টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল, জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমি নিজেও এক রাত ঘুমাতে পারিনি। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় এসেছে।"
বুলু ড. ইউনুসের উদ্দেশে বলেন, "হাসিনা আপনাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন, বিএনপি এর প্রতিবাদ করেছে। তারেক রহমান আপনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আপনাকে সম্মান করেন। আপনি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুন।"
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু, এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন নেতা। সম্মেলনে একাধিক প্রার্থী না থাকায়, আগামী দুই বছরের জন্য মহানগর বিএনপির সভাপতি হিসেবে উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইউসুফ মোল্লা টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাজিউর রহমান রাজিবের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. আলী আক্কাস।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫