|
প্রিন্টের সময়কালঃ ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৮ অপরাহ্ণ

পুলিশ সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ


পুলিশ সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ


ঢাকা প্রেস নিউজ

 

পুলিশ সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করার পাশাপাশি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়।
 

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পুলিশ বাহিনীকে বিভিন্নভাবে ভিন্নমত দমন এবং রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু পুলিশ কর্মকর্তারা দলের অনুগত হয়ে কাজ করতেন, এবং তাদের জন্য দুর্নীতি ও লোভনীয় পদোন্নতির সুযোগ তৈরি করা হতো। জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভের সময় পুলিশ নির্বিচারে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করায় অনেক প্রাণহানি ঘটে। এ জন্য প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও, পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ, পদোন্নতি এবং নজরদারি নিয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হয়েছে।
 

তেজগাঁওয়ে ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া প্রতিবেদনে পুলিশ ছাড়াও নির্বাচন ব্যবস্থা, দুদক ও সংবিধান সংস্কারের সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
 

পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, "ভিড় বা জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউরোপীয় মডেল অনুসরণ করা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে ডিটেইল গাইডলাইন তৈরি করা হবে, যাতে শক্তি প্রয়োগের সময় সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়। এইভাবে ভবিষ্যতে কোনো ঘটনা ঘটলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে না।"
 

গত বছর সরকারের পতনের আন্দোলন দমাতে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। আন্দোলনে প্রাণহানি হওয়া লোকদের পরিবার থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে।
 

কমিশন তাদের প্রতিবেদনে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়েও সুপারিশ করেছে। সফর রাজ হোসেন বলেন, "হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে যদি এই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে এক্সেসিভ ফোর্সের ব্যবহার ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার বন্ধ হবে।"
 

এছাড়া, পুলিশ স্টেশনে নারী পুলিশের জন্য একটি আলাদা ডেস্ক স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা একজন মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর, এসআই ও কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন, যাতে নারী আসামিদের জেরা এবং অভিযোগকারীদের যথাযথ সেবা প্রদান করা যায়।
 

কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন জানান, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে, তবে এগুলো বাস্তবায়নযোগ্য এবং সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। পুলিশ বাহিনীর জন্য নিয়োগ ও যাচাইকরণ পদ্ধতি সহজ করার সুপারিশও করা হয়েছে, যা শিগগিরই বাস্তবায়িত হতে পারে।
 

এছাড়া, কমিশন সাবেক সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল এবং তারা ৩ অক্টোবর থেকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় পায়। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫