ঢাকা প্রেস,নিজস্ব প্রতিনিধি:-
মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো মামলা থেকে খালাস পেলেন চ্যানেল এস'র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আলমগীর হোসেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু তালেব তাকে তিন বছর আগের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০২১ সালের একটি অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন আদালত।
জানা যায়, তিন বছর আগে কয়েকটি ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কামারপাড়া পাহাড়পুর নামাজগ্রামের নাহার ফুডস এ্যান্ড বেকারির মালিক আব্দুল মতিন বিপুর ভাই পারভেজ আলী। ২০২১ সালের ৩ মে নাহার ফুডস এ্যান্ড বেকারিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে যায় কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় পঁচা ডিম, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত খাবার উৎপাদনের তথ্য সংগ্রহ করে বেকারির বাইরে বের হওয়া মাত্রই সাংবাদিকদের ৫০০ টাকা দেন বেকারি মালিক আব্দুল মতিন বিপু। সাংবাদিকরা টাকা নিতে না চাইলে অতর্কিত হামলা চালানো হয় তাদের উপর।
এসময় সাংবাদিকদের জোর করে বেকারির ভিতরে নিয়ে হাত-পা বেধে নির্মম নির্যাতন করা হয়। বেকারি মালিক বিপুর নির্দেশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিপ্লব, আরমান, পলাশ, মাসুম, বাবু ও কুতুবুলসহ আরো ১৫/২০ জন মিলে প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে। এসময় তাদের সাংবাদিকদের কাছে থাকা ক্যামেরা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি তাদেরকে ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সাজানোর অপচেষ্টা চালানো হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলেও ১০ হাজার টাকায় ও দলীয় প্রভাবে বিক্রি হয়ে যায়। পরে ১০০ টাকার তিনটি ননজুডিশিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে সাক্ষর এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপন নিয়ে সাংবাদিকদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ৬ মে সাংবাদিক আলমগীর নিজে বাদি হয়ে গোদাগাড়ী থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফারুক চৌধুরী ও দলীয় প্রভাবে মামলা নেননি তৎকালীন ওসি খলিলুর রহমান পাটোয়ারী ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ১৩ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের শান্তিমোড় এলাকা থেকে সাংবাদিক আলমগীরকে লজোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় থানায়। পরে নাহার ফুডস অ্যান্ড বেকারি মালিক আব্দুল মতিন বিপুর ভাই মো. পারভেজ আলী বাদি হয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করে।