প্রকাশকালঃ
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ ১৬০ বার পঠিত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ২০২৩ সালে ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ৪৫ গুণ। ২০২২ সালে ইউরোপে হামে আক্রান্ত হয়েছিল মাত্র ৯৪১ জন। কিন্তু ২০২৩ সালে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ২০০ জন। এই আক্রান্তদের অধিকাংশেরই বয়স ১৬ বছর বা তার চেয়ে কম।
ডব্লিউএইচও বলছে, হামের টিকাপ্রদানের হার কমে যাওয়ার কারণে এই প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। করোনা মহামারির সময় অনেক দেশে হামের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে অনেক শিশু হামের টিকা পায়নি।
হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। এই রোগের লক্ষণগুলি হলো জ্বর, কাশি, সর্দি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া এবং শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া। হাম থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা।
ডব্লিউএইচও ইউরোপের দেশগুলিকে হামের টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তারা অভিভাবকদের তাদের শিশুদের টিকাদান নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ করেছে।
ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাবের কারণ
ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাবের প্রধান কারণগুলি হলো:
হামের টিকাদানের হার কমে যাওয়া: ২০২২ সালে ইউরোপে ৯৫% শিশু হামের টিকা পেয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে এই হার কমে ৯০%-এর নিচে নেমে এসেছে।
করোনা মহামারির কারণে টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা: করোনা মহামারির কারণে অনেক দেশে হামের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে অনেক শিশু হামের টিকা পায়নি।
হামের ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা: ইউরোপের কিছু দেশে হামের ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা দেখা দিয়েছে। ফলে সব শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাব রোধে করণীয়
ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাব রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
হামের টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু করা: ইউরোপের দেশগুলিকে হামের টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরু করার জন্য উৎসাহিত করা উচিত।
হামের টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা: ইউরোপের দেশগুলিকে হামের ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা: জনসাধারণের মধ্যে হামের টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
ইউরোপে হামের প্রাদুর্ভাব রোধে সচেষ্ট হলে এই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।