স্পোর্টস ডেস্ক:-
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই গতি ও শৃঙ্খলার বার্তা দিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। জানালেন, দীর্ঘদিনের শৃঙ্খলাহীনতা চিহ্নিত করে তা নিরসনে গ্রহণ করা হচ্ছে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ। সেই সঙ্গে বোর্ডের অভ্যন্তরে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও পেশাদার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিলেন সাবেক এই জাতীয় দলের অধিনায়ক।
শৃঙ্খলা ফেরাতে দৃঢ় প্রত্যয়
সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বুলবুল বলেন,
‘বিসিবিতে শৃঙ্খলার অভাব একটা বড় সমস্যা—এটা আমরা পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত করেছি। শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি আধুনিক এইচআর পলিসি প্রণয়ন করছি। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন বিভাগকে শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় এনে ক্রিকেটের মৌলিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, ৩০ জুনের মধ্যে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।’
টি-টোয়েন্টি মানসিকতা নিয়ে মাঠে
তবে নিজের মেয়াদকে তিনি দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে দেখছেন না, বরং ‘টি-টোয়েন্টি’ স্টাইলে দ্রুত ও ফলপ্রসূ কাজ করতেই আগ্রহী বুলবুল।
‘আমি লম্বা সময়ের জন্য আসিনি, টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছি। প্রতিটি মিনিটের হিসাব রেখে কাজ করছি। জানি না ভবিষ্যতে কী হবে, আপাতত আমি পুরোপুরি সময় দিতে প্রস্তুত। আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে, ২০১৫ সালের এই দিনেই আমি আইসিসিতে যোগ দিয়েছিলাম। আজকের দিনে সেই অধ্যায় শেষ করলাম।’
সৌহার্দ্য ফেরানোর প্রত্যয়
সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ হয়নি জানিয়ে বুলবুল বলেন,
‘ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। ফোন করতে চাই, তবে দ্বিধায় আছি—এটা কি এখনই করা ঠিক হবে? আমাদের ক্রিকেট কমিউনিটির মাঝে যেন একটা ছন্দপতন হয়েছে। আমি চেষ্টা করব সেই বন্ধন, সৌহার্দ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আবার ফিরিয়ে আনতে।’
খেলোয়াড়ি জীবনে সহযোদ্ধা ছিলেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
‘ফারুক ভাই, নান্নু ভাই, লিপু ভাই, বাদশা ভাই, আশরাফুল ভাই—সবাই আমার আপন মানুষ। আমরা একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি, সুতরাং সম্পর্কটা পেশাগত নয়, অনেক গভীর। সেই সম্পর্কের মর্যাদা রাখব।’