ছানি পড়ার কারন ও সতর্কতা

প্রকাশকালঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:১২ অপরাহ্ণ ৩৮০ বার পঠিত
ছানি পড়ার কারন ও সতর্কতা

সারা বিশ্বে অন্ধত্বের প্রধান কারণ চোখে ছানি পড়া। চোখের ভেতরের স্বচ্ছ প্রাকৃতিক লেন্সটি বিভিন্ন কারণে ঘোলা হতে থাকে। ঘোলা হতে হতে যখন দৃষ্টি শক্তিতে সমস্যা দেখা দেয়, তখন সেটাই ছানি পড়া হিসেবে চিহ্নিত হয়। চোখে ছানি পড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। 

অনেকের ধারণা বৃদ্ধ বয়সে চোখে ছানি পড়ে। আসলে এটা ভুল ধারণা। বিভিন্ন কারণে যেকোনো বয়সেই চোখে ছানি পড়তে পারে। তবে সাধারণত বয়স্কদের এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। যখন চোখে ছানি পড়বে তখন আপনার চারপাশের সবকিছুই ঘোলা হয়ে আসবে ও সবকিছুই অস্পষ্ট দেখবেন। চোখের যত্নে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করলে এ ধরনের সমস্যা থাকে না বরং চোখ সুস্থ ও সুন্দর থাকে। তবে আগে থেকে কিছু সতর্কতা মেনে চললে ছানি পড়া কিছুটা কমানো সম্ভব।


অতিবেগুনি রশ্মি
ঘুরতে গিয়ে ছবিতে সুন্দর দেখাবে বলে চোখে সানগ্লাস পরেন। অন্য সময়ে তা পরার কথা মনেও থাকে না। চিকিৎসকেরা বলছেন, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই রোদ থেকে চোখ বাঁচিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত সানগ্লাস পরার অভ্যাস করতে হবে।

পুষ্টিকর খাবার
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। চোখের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো হলুদ, লাল ও কমলা রঙের সবজি বা ফলে ভিটামিন এ-র পরিমাণ বেশি। এছাড়া পালং শাকের মতো শাকপাতাও চোখের জন্য উপকারী।

ভিটামিন সি
শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে চোখের লেন্স ভিটামিন সি বেশি ধারণ করে। যদি আপনার চোখে ছানি (প্রাথমিক পর্যায়ে) হয়ে থাকে তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে সম্পূরক ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।


পেঁপে
পেঁপের মধ্যে যে এনজাইম থাকে তা প্রোটিন জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে। চোখে ছানি আছে এমন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে তাদের প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম করতে সমস্যা হয়। এই অতিরিক্ত প্রোটিন চোখের লেন্স-এ গিয়ে জমা হয়ে ছানি তৈরি করতে পারে। তাই ছানি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়া উচিত।

দুধ ও কাজুবাদাম
চোখে ছানি হলে চোখ জ্বালা করে ও লাল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে দুধের মধ্যে সারারাত কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে সেই দুধ যদি চোখের পাতায় লাগানো যায় তাহলে চোখ জ্বালা করা ও লাল হয়ে যাওয়া অনেকটাই কমে যায়।

কাঁচা শাক-সবজি
একাধিক মেডিক্যাল জার্নাল অনুযায়ী, কাঁচা শাক-সবজি ভিটামিন এ এর উৎস। তাছাড়া এগুলো বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।


রসুন
ছানি পড়া চোখের জন্য রসুন খুবই উপকারী। আপনার চোখ পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে দৃষ্টি যে রকম পরিষ্কার মনে হবে, রসুনও ঠিক সেই কাজটি করে থাকে। তাই প্রতিদিন ২-৩টি কোয়া রসুন খেতে পারলে উপকার পাওয়া যাবে।

গ্রিন টি
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গ্রিন টি ভালো কাজ করে। গ্রিন টিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা চোখকে সজীবতা প্রদান করে।

নিয়মিত চোখ পরীক্ষা
বেশি দিন পর্যন্ত চোখ ভালো রাখতে ৩০ বছরের পর থেকেই নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে হবে। চোখের কোনো সমস্যা না থাকলেও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। পরিবারে কারও যদি অল্প বয়সে চোখে ছানি পড়ার ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া প্রয়োজন।