ঢাকা প্রেস নিউজ
শুভ জন্মদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভূখণ্ডের উচ্চশিক্ষার আলোকবর্তিকা, জাতিরাষ্ট্র গঠনের বুদ্ধিবৃত্তিক সূতিকাগার, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র, স্বাধীন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক আজ তার ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
১৯২১ সালের ১ জুলাই, পূর্ববঙ্গের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দীর্ঘ দাবি পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টি শত বছর ধরে জ্ঞানের মশাল জ্বালিয়ে আসছে। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিকদের বড় অংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরেই এই দেশের জনগোষ্ঠী উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে, বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল গৌরবময়। আজও মুক্তচিন্তা ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান ও আলোর পথে আরও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠছে। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে এর অবস্থানও হতাশাজনক। শিক্ষাবিদরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিকভাবে যে মহান ভূমিকা পালন করেছে তার অনেক কিছুই অর্জিত হয়েছে।
তথাপিও, বর্তমান অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। তারা বিশ্বাস করেন, ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান একদিন আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ, তিনটি আবাসিক হল নিয়ে যাত্রা শুরু করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ২০৪৮ জন শিক্ষক নিয়ে এক বিশাল পরিবার।
উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবিক, মৌলিক ও প্রায়োগিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা বিস্তার করে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী।
শুভেচ্ছা:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে এই বিশেষ দিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আজকের কর্মসূচি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় - জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাক!