|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০২ মে ২০২৫ ০৬:৪১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:৩৫ অপরাহ্ণ

উত্তরা ও তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ


উত্তরা ও তুরাগ এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ


ঢাকা প্রেস নিউজ
 

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 

ডিএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার আগে ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচদিনের জন্য জোড় ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করছিলেন সাদ অনুসারী মুসল্লিরা। অন্যদিকে, সাদপন্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।
 

এছাড়া, গাজীপুরে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের সংঘর্ষের পর বিচার এবং ইজতেমা ময়দান জুবায়েরপন্থীদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জুবায়েরপন্থীরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় এ অবরোধ করা হয়, যার ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
 

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে দখলসংক্রান্ত সংঘর্ষের পর কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এছাড়া, ঘটনাস্থলে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
 

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়, যাতে তিনজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেলাল (৬০) এবং বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৬৫) রয়েছেন। এই সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
 

এদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করার পর সরকার ওই মাঠের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাদ অনুসারী মাওলানা রেজা আরিফ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫