কাশ্মীরের চেয়েও বড় ‘সাদা সোনা’ খনির সন্ধান মিলেছে ভারতের রাজস্থানে

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পর এবার ‘সাদা সোনা’ খ্যাত লিথিয়ামের বিশাল খনির সন্ধান মিলেছে রাজস্থানে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (জিএসআই) কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন খনিতে যে পরিমাণ লিথিয়াম রয়েছে, তা দিয়ে ভারতের ৮০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। সেটি হলে মূল্যবান ধাতুটির জন্য আর চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না তাদের। —খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহূত ব্যাটারি তৈরির প্রধান উপকরণ এই লিথিয়াম। বিশ্বের মোট লিথিয়ামের অর্ধেকেরও বেশি পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকার মাত্র তিনটি দেশ আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া এবং চিলিতে। ফলে আধুনিক প্রযুক্তির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধাতুর সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঐ তিনটি দেশের ওপর নির্ভরশীল বেশির ভাগ দেশ। ভারত তার লিথিয়ামের চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি আমদানির ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে চীনের ওপর। ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারত ৬ হাজার কোটি রুপির লিথিয়াম আমদানি করেছে, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপির লিথিয়ামই নিয়েছিল চীনের কাছ থেকে। মাস চারেক আগে ভারতে প্রথম বারের মতো লিথিয়াম খনির সন্ধান পাওয়া যায় জম্মু-কাশ্মীরে। ধারণা করা হচ্ছে, ঐ খনিতে ৫৯ লাখ টন লিথিয়াম রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, রাজস্থানে সন্ধান পাওয়া খনিতে মজুত লিথিয়ামের পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আকার জম্মু-কাশ্মীরের খনির চেয়েও অনেক বড়। ভারতের রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের ৭০ শতাংশেরও বেশি হলো টু-হুইলার, প্রধানত স্কুটার ও মোটরসাইকেল। তিন চাকার অটোরিকশা চলাচল করে আরো ১০ শতাংশ। গত বছর ভারতে নিবন্ধিত বৈদ্যুতিক গাড়ির ৯২ শতাংশই ছিল এই ?দুই ক্যাটাগরির। ভারত সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রয়ের ৩০ শতাংশ, বাণিজ্যিক গাড়ির ৭০ শতাংশ এবং দুই ও তিন চাকার গাড়ির ৮০ শতাংশই হবে বিদ্যুৎচালিত। অর্থাৎ, চলতি দশকের শেষের দিকে ভারতের রাস্তায় চলাচলকারী বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা ১৩ লাখ ৯২ হাজারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে নতুন লিথিয়াম খনির সন্ধান দেশটিকে আরো সহযোগিতা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫