|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:০১ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:২৭ অপরাহ্ণ

পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল ও ইতিহাস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য


পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল  ও  ইতিহাস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য


পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের হিমালয় পর্বতমালার গঙ্গোত্রী হিমবাহে। এই হিমবাহ থেকে বেরিয়ে আসা দুটি নদী, ভাগীরথী এবং অলকানন্দা, কোশি নদীতে মিলিত হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এই নদীটি ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য ২৫৯৭ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের বৃহত্তম নদী। এই নদীটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়। 

 

পদ্মা নদী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই নদীটি বাংলাদেশের প্রধান যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।এছাড়াও, এই নদীটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান, পাট, গম, এবং অন্যান্য ফসল চাষ হয়। এছাড়াও, এই নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে মৎস্য শিকার হয়পদ্মা নদীর আরেক নাম কীর্তিনাশা। রাজা রাজভল্লবের গড়া কীর্তি এই পদ্মার ভাঙ্গনে ভেসে গিয়েছিল।সেই থেকে এই নাম।তবে পদ্মার ভাঙন কিংবা পদ্মার পাড়ের জীবনের বিশ্বস্ত গল্প সর্বপ্রথম উঠে আসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে। পদ্মার জোয়ার-ভাটা, সুখ-দুঃখ, জীবনযাত্রা সবকিছু উঠে আসে কুবের মাঝির জীবনের গল্প দিয়ে। বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় সেই উপন্যাস বাংলার পদ্মার তীর ঘেঁষে গড়ে উঠলেও, বিশ্বব্যাপী নদীর পাড়ের গল্পগুলোও প্রায় কাছাকাছি। কখনও নৃগোষ্ঠীদের জনপদ, কখনও শিল্প নগরী, কখনও বা একটি নদী কেবলই পশুপাখির।

 

নদী তার আপন গতিতে চলতে গিয়ে প্রতি ঢেউয়ে লিখে যায় পরিবর্তনের গল্প। লিখে যায় নতুন সংস্কার, কখনও বা পুরনো সংস্কারকে ভেঙেও দিয়ে যায়। তবে আধুনিক সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার পিছনে যে নদীর কোনো তুলনা নেই, তা নিয়ে কোনো সন্দেহও নেই। কখনও কখনও একটি নদী একটি দেশকে নিয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে, কখনো বা একটা নদীই হয়ে উঠেছে একটি দেশের দুঃখ। পৃথিবীব্যাপী এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ, প্রাচীন ও দীর্ঘতম নদীর গল্প নিয়েই এই আয়োজন।

 

পদ্মা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এই নদীটি বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, এই নদীটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
 


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫