শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে পাশে থাকাই আমার দায়িত্ব — আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:১৮ অপরাহ্ণ   |   ১০০ বার পঠিত
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে পাশে থাকাই আমার দায়িত্ব — আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-

 

শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি ও সমস্যাগুলোর পাশে দাঁড়ানোকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে দেখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, অতীতেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করেছেন, ভবিষ্যতেও করে যাবেন।
 

পিএসসি সংস্কারের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের চলমান আন্দোলন এবং ৮০ ঘণ্টা অনশন শেষে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে, পরিস্থিতি সমাধানে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বিস্তারিত বক্তব্য দেন।
 

তিনি লেখেন, “পিএসসি সংস্কারের দাবিতে অনশনরত চার চাকরিপ্রার্থীর শারীরিক অবস্থা যখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন আমি পিএসসি এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে একটি সমাধানের সেতুবন্ধ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। বারবার বলেছি, ‘পিএসসি একটি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। আমি এখানে সিদ্ধান্তদাতা নই, কেবল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছি।’”
 

আসিফ মাহমুদ জানান, আন্দোলনকারীরা লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের সুরাহা দাবি করেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি পিএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খোঁজেন। তাঁর ভাষায়, “পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম স্যার আলোচনার জন্য তিনজন সদস্য পাঠান। টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর লিখিত পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়।”
 

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমি কোনোভাবে পিএসসিকে চাপ প্রয়োগ করিনি। আমি শুধুই সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করেছি, কারণ অনশনরতদের অবস্থা দ্রুত অবনতি হচ্ছিল।”
 

তবে, একটি সংবাদমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে ‘চাপ প্রয়োগ’-এর অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা পুরোপুরি অসত্য। এরপর থেকেই আমাকে লক্ষ্য করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
 

শেষে তিনি জানান, “গণ-অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের অংশ হয়েছি। ফলে শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে পাশে দাঁড়ানো আমার নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি, এবং ভবিষ্যতেও করব।”