ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-
জন সেবার জন্য প্রশাসন এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত এলএ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।সেবার মান বেড়ে যাওয়ার কারনে সেবা নিতে আসা মানুষদের আর হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেবা প্রত্যাশীরা।
গত কয়েকদিন তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় বিগত জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত থাকা কালীন সাসেক প্রকল্পের ভুমি অধিগ্রহনের চেক প্রদানের সময় মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠেছিলো।
বিগত ছাত্রজনতার আন্দোলনের পর সাবেক জেলা প্রশাসক নাহিদ রসুল কে বদলী করা হলে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহম্মদ।
তিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরে সেবার মান তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটা সময় হয়রানি ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ এলএ শাখায় থাকলে ও অতিতের যে কোন সময়ের তুলনার এলএ শাখা এখন দুর্নীতি মুক্ত।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নারায়ন চন্দ্র বলেন সাসেক প্রকল্প আমার জমি অধিগ্রহণের পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলএ শাখায় জমা দিয়েছি স্থাপনার চেক হাতে পেয়েছি কোন হয়রানির স্বীকার হতে হয় নি।
সাসেক প্রকল্পের অধিগ্রহনের চেক নিতে আসা পলাশবাড়ী উপজেলার সুরুজ হক লিটন জানান সাসেক প্রকল্পে আমার জমি ও স্থাপনা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমার কাগজ পত্র সব ঠিক আছে। আমি এলএ শাখা থেকে চেক গ্রহণ করেছি। কোন হয়রানির স্বীকার হতে হয় নি।শুধু তাই নয় একটি টাকা কোথা ও দিতে হয় নি।এল এ শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীরা যতেষ্ঠ সহযোগিতা করেছে।
একই প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ ও স্থাপনার চেক নিতে আসা পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু বলেন আমি জমি অধিগ্রহণ ও স্থাপনার চেক পেয়েছি।আমাকে কোন হয়রানির স্বীকার হতে হয় নি। আমাকে যতেষ্ঠ সহযোগিতা করা হয়েছে এলএ শাখা থেকে।
অতিতের যে কোন সময়ের তুলনায় এলএ শাখার সেবার মান বেড়েছে কেন? জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জনাব জহির ইমাম বলেন আমরা সবার কথা শোনার চেষ্টা করি।আমরা সবাইকে দ্রুত সেবা দেয়া চেষ্টা করেছি। আমরা আইন বিধি মোতাবেক কাজ করার চেষ্টা করি।