ঢাকা প্রেস
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ-
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে। শুধু গত দুই সপ্তাহে কক্সবাজারের সীমান্ত দিয়ে কমপক্ষে আট হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) একদিনেই অন্তত ৫০০ রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
রাখাইনের মংডু টাউনশিপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নৌকাযোগে রোহিঙ্গারা নাফ নদী অতিক্রম করে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলায় প্রবেশ করছে। রাতের অন্ধকারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এই অনুপ্রবেশ চলছে।
পুনঃপ্রত্যাবাসন: অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদ থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সীমান্তে টহল জোরদার: অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।
আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তা: আশ্রয়শিবিরে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা যেন ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে। বর্তমানে কক্সবাজারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে।
মানবিক সংকট: বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর উপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।
সুরক্ষা: আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তা বজায় রাখা একটি চ্যালেঞ্জ।
প্রত্যাবাসন: রোহিঙ্গাদের সুরক্ষিতভাবে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া একটি জটিল সমস্যা।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবাহ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।