বাংলাদেশের ঋণমান কমাল মুডিস, ব্যাংক খাত নিয়ে শঙ্কা

ঢাকা প্রেস নিউজ
ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। আগে যেখানে দেশের ঋণমান ছিল ‘বি-ওয়ান’, এখন তা নেমে এসেছে ‘বি-টু’ পর্যায়ে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেতিবাচক’ হয়ে গেছে।
বুধবার প্রকাশিত মুডিসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সম্পদের মানের অবনতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সংস্থাটি চারটি মূল কারণ উল্লেখ করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের ঋণমান কমানো হয়েছে:
- অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি।
- ব্যাংক খাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
- খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি।
- চরম মূল্যস্ফীতি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা, পোশাক খাতের সরবরাহ শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা হ্রাস অর্থনৈতিক মন্দার কারণ হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ মাসের ব্যবধানে নীতিগত সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে। তবে ২০২৫ সালেও মূল্যস্ফীতি প্রায় ৯.৮ শতাংশে থাকার আশঙ্কা করছে মুডিস।
মুডিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমছে। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে, যা আগের বছরের ৫.৮ শতাংশের তুলনায় কম।
এছাড়া, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের হার ১৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ৯ মাস আগে ছিল ৯ শতাংশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন পরিস্থিতি এখন নেতিবাচক (-২.৫ শতাংশ), যা বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় খারাপ। সরকার নতুন করে টাকা না দিলে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে।
- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করেছে।
- ২০২৫ সালের এপ্রিলে কঠোর নিয়ম আসছে খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য।
- তারল্য সংকট এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সহায়তা দেবে, তবে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে।
- পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে, বিনিয়োগ কমতে পারে এবং চাকরি বাজারে প্রভাব পড়তে পারে।
মুডিস বলছে, বাংলাদেশের ব্যাংক খাত এখন কঠিন সময় পার করছে। সরকারের সহায়তা ছাড়া ব্যাংকগুলোর জন্য সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫