নারী প্রশিক্ষণার্থীকে অপমান, অভিযুক্ত রৌমারীর কৃষি কর্মকর্তা

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকার অজুহাতে এক নারীসহ কয়েকজনকে অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে রোববার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে। অভিযোগকারী জহুরা খাতুন উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের পূর্ব ধনারচর গ্রামের মৃত সোনা উল্লাহর স্ত্রী।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসএসিপি রেইঞ্জ প্রকল্পের আওতায় শাক-সবজি ও গবাদিপশু পালন বিষয়ে চার দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণে অংশ নেন জহুরা খাতুনসহ কয়েকজন নারী। কিন্তু পড়াশোনা কম জানার কারণ দেখিয়ে তাদের কক্ষ থেকে বের করে দেন কৃষি কর্মকর্তা।
জহুরা খাতুন বলেন, “আমি চাষবাস করি, প্রশিক্ষণটি আমার খুব প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাকে রাগারাগি করে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। আমি টাকা দিইনি, সে কারণেই আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল থাকায় কয়েকজনকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে খারাপভাবে কিছু বলা হয়নি। প্রশিক্ষণে অংশ নিতে কোনো অর্থ লেনদেন হয় না, এই অভিযোগ মিথ্যা।”
তিনি আরও বলেন, “আমি হয়তো আমার জুনিয়রদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছি, ওই নারী ভেবেছেন আমি তাকে বলেছি।”
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমাদের প্রশিক্ষণগুলো মূলত পারিবারিক কৃষিকাজে নিয়োজিত নারীদের জন্য। এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো বিষয় নয়। কেউ খারাপ আচরণ করলে তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫