জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে। এর আগে পৌর পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে বেলা দেড়টার দিকে এনসিপির সমাবেশে প্রথম দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এনসিপি নেতারা সমাবেশ শেষে টেকেরহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়েন। এতে গাড়িবহরের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং পরে গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসে আশ্রয় নেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, “গোপালগঞ্জে সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে উঠছে। সময় এসেছে সারাদেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।”
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “গোপালগঞ্জে আমাদের ওপর বর্বর হামলা হয়েছে। পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। যদি ফিরে যেতে পারি, তবে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব; না হলে এখানেই জীবন শেষ হবে। গোপালগঞ্জবাসীকে এখনই জেগে উঠতে হবে।”
সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা গোপালগঞ্জে এসেছিলাম শান্তির বার্তা নিয়ে। যদি বাধা না দেওয়া হতো, গোপালগঞ্জের মানুষ সমাবেশে উপচে পড়ত। আমরা এসেছি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও নাগরিক অধিকারের কথা বলতে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি ছিল। আমরা কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জে এসেছিলাম।”
বর্তমানে পুরো শহরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।