ঢাকা প্রেস নিউজ
ব্যক্তি করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ হতে যাচ্ছে। দুই দফা সময় বাড়ানোর পর আগামী ৩১ জানুয়ারি রিটার্ন জমার শেষ দিন। এর মানে, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই করদাতাদের রিটার্ন জমা দিতে হবে।
এর আগে ১৭ নভেম্বর ও ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৃথক দুটি আদেশে এক মাস করে সময় বাড়িয়েছিল। বর্তমানে দেশে এক কোটির বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রয়েছেন। তবে প্রতিবছর এর মধ্যে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই-আগস্ট মাসে রাজনৈতিক আন্দোলন, ব্যবসায় অনিশ্চয়তা এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে করদাতাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হয়। তবে প্রতিবছরই রিটার্ন জমার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর সময় বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়, যা এবারও ব্যতিক্রম নয়।
চলতি বছর কিছু ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে অনলাইন জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত ২২ অক্টোবর এনবিআরের আদেশে ঢাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি কর্মকর্তা, তফসিলি ব্যাংক কর্মকর্তা, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তা এবং বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক করা হয়।
এই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার এই বাধ্যবাধকতার কারণে অনেক ব্যাংকার এবং করদাতা নতুন সমস্যায় পড়েছেন।
এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রায় ১৫ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। তবে অনলাইন ও অফলাইনে জমা পড়া মোট রিটার্নের সংখ্যা এখনও চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হয়নি।
করদাতারা যেন সময়মতো রিটার্ন জমা দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য এনবিআর সংশ্লিষ্টদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।