গরুর দুধে প্রাণঘাতী ভাইরাস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গরুর দুধে পাখির ফ্লু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে ঝুঁকি খুব কম, এই ঘটনাটি কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (FDA) জানিয়েছে যে তারা জাতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা চলাকালীন কিছু পাস্তুরিত গরুর দুধের নমুনায় হাইলি প্যাথোজেনিক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (HPAI) H5N1 ভাইরাসের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত করেছে।
HPAI H5N1 একটি ভাইরাস যা পাখির মধ্যে মারাত্মক হতে পারে এবং মানুষকেও সংক্রমিত করতে পারে।
আক্রান্ত গরুর সংস্পর্শে আসা একজন ব্যক্তির HPAI H5N1 সংক্রমণ হয়েছে বলেও জানা গেছে, তবে তাদের লক্ষণগুলি হালকা ছিল।
কীভাবে দুধে ভাইরাস এলো?
- এটি স্পষ্ট নয় যে ভাইরাস দুধে কীভাবে প্রবেশ করেছে।
- একটি সম্ভাবনা হল যে এটি আক্রান্ত গরুর দুধ থেকে এসেছে।
- আরেকটি সম্ভাবনা হল যে ভাইরাস দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের পরিবেশে পরিবেশগতভাবে উপস্থিত ছিল।
ঝুঁকি কি?
- FDA বলেছে যে পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া HPAI H5N1 ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে।
- এর মানে হল যে দুধে সক্রিয় ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা নেই।
- যাইহোক, কিছু লোক উদ্বিগ্ন যে দুধে ভাইরাসের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে যা মানুষকে অসুস্থ করতে পারে।
- FDA বলেছে যে এই ঝুঁকি খুব কম, তবে তারা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
আমরা কি নিরাপদে গরুর দুধ পান করতে পারি?
- FDA বলেছে যে পাস্তুরাইজড গরুর দুধ পান করা নিরাপদ।
- তারা সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে, যেমন দুধ ফুটিয়ে পান করা, বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫