|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১১ নভেম্বর ২০২৫ ০২:২৩ পূর্বাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১০ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০১ অপরাহ্ণ

“কিছু করলেই বলে চলে গেল, চলে গেল” — নৌ উপদেষ্টা


“কিছু করলেই বলে চলে গেল, চলে গেল” — নৌ উপদেষ্টা


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রেস:



চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করেছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, “কিছু করলেই খালি বলে চলে গেল, চলে গেল! কী চলে গেল ভাই? গত ১৭ বছরে যখন এই বন্দরে লুটপাট চলছিল, তখন তো কেউ কথা বলেননি।”


সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।


অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর ও বে-টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব ইজারার ভিত্তিতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ডিসেম্বরেই এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

 

এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌ উপদেষ্টা বলেন,“দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বন্দরকেও এগিয়ে নিতে হবে। কিছুই চলে যায়নি। বন্দরের সক্ষমতা (ইফিসিয়েন্সি) বাড়াতে যদি আমাদের শর্তাবলী পূরণ হয়, তাহলে দেখবেন—এই পোর্টের চেহারাই বদলে যাবে।”


বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ট্যারিফ বৃদ্ধির আগে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতে, তাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চান না। তবে আদালতে ট্যারিফ বৃদ্ধির যৌক্তিকতা উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।


আরেক প্রশ্নের জবাবে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন,“দেশ বা বন্দরের আয় ক্ষতিগ্রস্ত করে কোনো টার্মিনাল আমরা করবো না। আপনারা আমার কাজ ও লেখালেখি সম্পর্কে জানেন—আমি দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত নেব না।”


উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,“আমি এখানেই আছি, আমার পুরো পরিবারও বাংলাদেশে। আমি কোথায় পালাবো?” চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে প্রায় ৩২ একর জায়গায় একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৪ একর জায়গায় ইতোমধ্যে ইয়ার্ড তৈরি হয়েছে। এতে বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার একক বাড়বে বলে উপদেষ্টা জানান।


পরিদর্শনকালে তিনি বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে নির্মাণাধীন বে-টার্মিনাল এলাকায় পরিবহন টার্মিনাল উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া বন্দর এলাকার ইস্ট কলোনি সংলগ্ন তালতলায় নবনির্মিত কনটেইনার ইয়ার্ডও উদ্বোধন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, সচিব ওমর ফারুকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫