"আধখানা আকাশ আমার"
আধখানা আকাশ আমার, আর আধখানা মাটি, না পারি ভাসতে শূন্যে, না আমি হাঁটি। মোমবাতির শোক মিছিল এগিয়ে আসছে ঐ গুটিগুটি। ঘাতকের দল মিলেমিশে হয়েছে একাকার সব গিরগিটি।
অশ্রুতে ভেসেছে এ শহর এ দেশ, তবে আমার কেন চোখের জল হয়েছে শেষ, ক্ষরায় যেনো ফুটিফাটা কর্নিয়া শেষমেশ।
ভেবেছো ময়নাতদন্তে কিছু কি উঠে আসবে? নাকি সেচ্ছা মৃত্যু অথবা দুর্ঘটনা বলে কেউ পার পেয়ে যাবে?
শরীর ঘেঁটে কি পেলে বলো, মাংস-মজ্জা-রক্ত-গুঁড়ো অস্থি? ছিল কি ছিল না, অনুভূতি গুলো হৃদয় অলিন্দে ভর্তি! মাথার ঘিলু তো নয় যেন খোলা ইলেকট্রিক বোর্ডের শতশত জট পাকানো তার।
পেরেছো কি জানতে কোথায় কি খবর পাঠাতো ঐ নিউরোনের সংসার? পাগল বলে নাকি দেখিয়ে দেবে কেউ ডাক্তারের কাগজ হিজিবিজি।
খুঁজতে যেয়ো না আসল কারণ কখনো, ছুঁতে চেয়ো না মিছিমিছি।
উঠবে সূর্য আবারও, ঢালবে জোৎস্না চাঁদ, তারায় তারায় ভরবে আকাশ ঘন অমানিশায়, হাঁড়িতে ফুটবে ভাত।
আড্ডায় চায়ের দোকান হবে মাত্, ক্যারামে ছেলের দল, হাসির রোল, কোথাও কিছুটি নেই, নেই গন্ডগোল।
জেলেরা ফেলবে জাল নদীতে, শালিকের জুটি খেলবে যেন কিতকিত, সকালের ঝুরি ঝুরি হালকা রোদ্দুরেতে।
বলো বলো কার কি এসে যায়, কি আছে দায়, পেটের এ জ্বালা কতদিন আর কতদিন, বলো ঢেকে রাখা যায়!
এই লখাটি মৃত্যু, হতাশা, এবং জীবনের অর্থের প্রশ্নগুলি অন্বেষণ করে। কবি একজন ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে লিখছেন যিনি সম্প্রতি একজন প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। তারা দুঃখ, রাগ এবং বিভ্রান্তির অনুভূতি দ্বারা তীব্রভাবে প্রভাবিত।
লেখার প্রথম চরণে, কবি তাদের অবস্থার একটি চিত্র আঁকে। তারা "আধখানা আকাশ" এবং "আধখানা মাটি" -এ আটকে আছে, অক্ষম উড়তে বা হাঁটতে। এটি তাদের আটকা পড়া এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিকে প্রতীকী করে।
দ্বিতীয় চরণে, কবি একটি "মোমবাতির শোক মিছিল" এবং "ঘাতকের দল" এর চিত্র ব্যবহার করে মৃত্যুর থিমটি চালিয়ে যান। এগুলি মৃত্যুর চূড়ান্ততা এবং অনিবার্যতার প্রতীক।
তৃতীয় চরণে, কবি তাদের দুঃখ এবং হতাশার অনুভূতি প্রকাশ করে।