পবিত্র রমজান শুরু ১১ মার্চ অন্যথায় ১২ মার্চ ( চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)

প্রকাশকালঃ ০৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ ১৫৮ বার পঠিত
পবিত্র রমজান শুরু ১১ মার্চ  অন্যথায় ১২ মার্চ ( চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল)

হিজরি ক্যালেন্ডারে শাবান মাসের ২৯ তারিখে ১০ মার্চ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পর, চাঁদ দর্শকরা অর্ধচন্দ্রের প্রথম আভাসের জন্য দিগন্তের একটি পরিষ্কার দৃশ্যের সাথে পশ্চিম দিকে মুখ করে। চাঁদ দেখা গেলে, রমজান মাস শুরু হবে, প্রথম রোজার দিন ১১ মার্চ হবে। অন্যথায়, শাবান ৩০ দিন পূর্ণ করবে এবং প্রথম রোজার দিন ১২ মার্চ হবে। সৌদি আরবে, চাঁদ দেখেছে এমন লোকদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয় এবং সুপ্রিম কোর্ট কখন রমজান শুরু করা উচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।


রোজার নিয়ত


ফরজ রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো নিয়ত করা। আর নিয়ত শব্দের অর্থ হলো, মনের ইচ্ছা, সংকল্প বা প্রতিজ্ঞা। এটি অন্তরের কাজ, জিহ্বার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো কাজের শুরুতে মনের মধ্যে যে ইচ্ছা পোষণ করা হয়, সেটাকেই নিয়ত বলা হয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজা আদায় হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়েক: ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ: ১/১৭৬; রদ্দুল মুখতার: ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/১৯৫)


বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকে। সেটি হলো— نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব আপনি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।’


ইফতারের দোয়া


ইফতারের আগের মুহূর্তটি অতি মূল্যবান। এটি দোয়া কবুলের সময়। নবী করিম (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)। হাদিসে বর্ণিত ইফতারের দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফতারতু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে  ইফতার করছি। (আবু দাউদ: ২৩৫৮)