‘আ.লীগ আর কখনও সুস্থ ন্যারেটিভ নিয়ে ফিরতে পারবে না’ — মাহমুদুর রহমান মান্না

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, "আওয়ামী লীগ আর কখনোই একটি সুস্থ রাজনৈতিক ন্যারেটিভ নিয়ে জনগণের সামনে ফিরে আসতে পারবে না।"
শনিবার সকালে রাজধানীর এফডিসিতে ‘ক্ষমতার পালাবদলে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’।
মান্না বলেন, “প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে যারা আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়, তাদের আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার করতে হবে। জুলাইয়ের চেতনা আমাদের হৃদয়ে যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে, তা আরও অনেকদিন মশালের মতো আলো ছড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। গত ১৫ বছরে তারা যেভাবে দমন-পীড়ন, হত্যা ও নিপীড়নের রাজনীতি চালিয়ে এসেছে, তার কোনো ক্ষমা নেই। এই ইতিহাস জাতির স্মৃতিতে দগদগে ঘায়ের মতো গেঁথে থাকবে।”
আন্দোলনরত তরুণদের প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা এখন দল গঠন করেছে। যদিও তারা এখনও সর্বত্র পৌঁছাতে পারেনি। এনসিপির মধ্যে কিছু অসংগতি থাকলেও ঐক্যবদ্ধ ও পরিণত হতে হবে। এক সময় মানুষ ভোট হবে কি না, তা নিয়েই সংশয়ে ছিল। এখন সেই অবস্থা পাল্টে গেছে। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে সত্যিকারের ভোট হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক, তাদের অবশ্যই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই দেশ পরিচালনা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। তার প্রস্তাবগুলো হলো:
১. ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন;
২. পূর্ববর্তী নির্বাচনে অনিয়মে জড়িত নির্বাচন কমিশনার, প্রশাসন, পুলিশ, ডিসি ও এসপিদের বিচার নিশ্চিত করা;
৩. আরপিও সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণার পরও নির্বাচন স্থগিতের ক্ষমতা প্রদান;
৪. রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন;
৫. নির্বাচনী সহিংসতা ও অপরাধে জড়িতদের তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা;
৬. দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, ব্যাংক লুটেরা ও ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা;
৭. আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো;
৮. নির্বাচনকালীন সংবাদ পরিবেশে বাধা সৃষ্টিকারী আইন বাতিল;
৯. নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংস্কার বিষয়ক সংলাপ আয়োজন;
১০. নির্বাচন-পরবর্তী একটি জাতীয় সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য অর্জন।
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে বিজয়ী হয় ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিক দল। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক কাজী জেবেল, জাকির হোসেন লিটন এবং সাইদুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ট্রফি, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫