ছাত্র জনতার পাশে থেকে গুলিবিদ্ধ হয় গাইবান্ধার তিন সাংবাদিক

প্রকাশকালঃ ২৪ আগu ২০২৪ ০৮:২৩ অপরাহ্ণ ৯১৬ বার পঠিত
ছাত্র জনতার পাশে থেকে গুলিবিদ্ধ হয় গাইবান্ধার তিন সাংবাদিক

ঢাকা প্রেস
সিরাজুল ইসলাম রতন,স্টাফ রিপোর্টার:--


ছাত্র জনতা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহে পুলিশের গুলিতে আহত গাইবান্ধার তিন সাংবাদিকের খবর নেওয়ার সময় কারো হয়নি। আহত তিন সাংবাদিক প্রান না হারালেও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছেন গুলির আঘাতের ক্ষত চিহৃ গুলো। আহত ছাত্র জনতার পাশে গণমাধ্যমকর্মীরা থেকে নিজেরাও আহত হয়েছেন তরুন্যের এ স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্ত দিতে পেরেছেন এমন প্রশান্তিতে গাইবান্ধার তিন গণমাধ্যমকর্মী।

 

৪ আগস্ট ছাত্র জনতার অসহযোগ আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে গুলিবিদ্ধ হন তিন সাংবাদিক।  তারা হলেন দৈনিক ঢাকা টাইমসের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জাবেদ হোসেন, ঢাকা পোস্টের রিপন আকন্দ ও বার্তা বাজারের সুমন মিয়া।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সেদিন অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা। তারা মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এতে তিন সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তিন সাংবাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহন করায় বর্তমানে তারা অনেকটা সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন তবে শরীরে রয়েছে ক্ষত চিহৃ গুলো।

 

গুলিবিদ্ধ ঢাকা পোস্টের সাংবাদিক রিপন আকন্দ জানান, জাবেদ হোসেনের শরীরে ১৩টি, তার নিজের শরীরে ২টি এবং সুমন মিয়ার শরীরে ৫টি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ্য রয়েছেন।

 

রিপন আকন্দ আরো বলেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের এ ঘটনাটি ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। আহতদেরকে জেলা সদর হাসপাতালেসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। 

 

আহত জাভেদ হোসেন জানান,শরীরের অনেক স্থানে আঘাত লেগেছে, আমরা ছাত্র জনতার পাশে থেকে আন্দোলনের সঠিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, এতে আমাদের রক্ত ঝরেছে। আমরা এ সংগ্রামে আহত ছাত্র জনতার সাড়িতে থাকতে পেরেছি। তারুন্যে জয়োপথে ধারাবাহিকতায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে,সকল ভেদাভেদ ভুলে বৈষম্য মুক্ত দেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে,মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বাধ পাবে এটাই আমাদের কামনা।