গঙ্গাধর নদীর ভাঙনে দিশেহারা বাসিন্দারা, বারবার সরাতে হচ্ছে ভিটেবাড়ি

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় বন্যার আগেই গঙ্গাধর নদীর ভাঙন তীব্রতর হয়ে উঠেছে। নারায়ণপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বালাহাট এলাকায় দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে আবাদি জমি, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদরাসা, বাজার, বিদ্যুৎ লাইন সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এই ভাঙনের কবলে বারবার পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে বহুবার তাদের ভিটেবাড়ি সরিয়ে নতুন করে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন।
স্থানীয়দের দুর্ভোগ: নূরবানু বেগম: ১০ বার ঘর সরিয়েও নদীর তীরের নতুন বসতিতে নিরাপত্তাহীন। আমোদ আলী: ৭ বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে, ৩ বার ভাঙনের শিকার। নূর মোহাম্মদ: বসতভিটা, জমি, সুপারি বাগান, পুকুর সব ভেঙে নদীতে বিলীন, অন্যের জমিতে আশ্রয়। কন্যামতি আকবর হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ২ বার ভাঙনের পর নতুন ভবনে স্থানান্তরিত, আবারও হুমকির মুখে।
স্থানীয়রা নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা, যেমন বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। ইউপি সদস্য নজর আলী: দুইশ' পরিবারের ভিটে ও সম্পত্তি বিপন্ন, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তবে বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান: চরাঞ্চলে স্থায়ী ভাঙন রোধে বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা সম্ভব নয়।
গঙ্গাধর নদীর ভাঙন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য বারবার বিপর্যয় ডেকে আনছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫