গোমতীর পানি কমলেও দুর্গত এলাকায় দুর্ভোগ অব্যাহত

ঢাকা প্রেস
কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় আক্রান্ত এলাকায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। যদিও নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে, তবে খাদ্য ও পানির সরবরাহে চরম ঘাটতির কারণে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামানের মতে, গোমতীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ভারত থেকে নেমে আসা পানির তীব্রতা কমার কারণে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা করা যায় না।
বাঁধ ভাঙার পর থেকে বুড়িচং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসন যদিও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর চেষ্টা করছে, তবে পর্যাপ্ত নৌকা ও ট্রলারের অভাবে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।
বুড়িচং উপজেলার ষোলনল এলাকার বুরবুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হলেও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। তিনি আরও জানান, ত্রাণের পরিমাণও পর্যাপ্ত নয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা মোহাম্মদ আবেদ আলী জানান, গোমতীর বাঁধ ভাঙার ফলে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ৩৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দুর্গত এলাকায় খাদ্য সহায়তা পাঠানোর জন্য কাজ করছে। গতকাল এক ট্রাক শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে এবং আজ আরও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকেই ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। জেলা প্রশাসন ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির | প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫