ঢাকা প্রেস নিউজ
চীন তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী। তারা ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন যে, চীন যেকোনো সিদ্ধান্তই সম্মান করবে এবং বাংলাদেশের অপেক্ষায় আছে।
তিনি আরও বলেছেন: তিস্তা নদী বাংলাদেশের নদী এবং তাই প্রকল্প সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাংলাদেশেরই। চীন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন করেছে। তারা দ্রুত সমাধান চায় এবং প্রয়োজনে ভারতের সাথেও কাজ করতে ইচ্ছুক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর প্রসঙ্গে ইয়াও ওয়েন বলেছেন যে, আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে থাকবে:
অবকাঠামো উন্নয়ন। বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বাণিজ্য সম্প্রসারণ। কৃষি সহযোগিতা। ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট। ডিজিটাল অর্থনীতি। শিক্ষা। গণমাধ্যম সহযোগিতা। জনসংযোগ বৃদ্ধি। রোহিঙ্গা সংকট।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের ভূমিকা:
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন যে, চীন মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতি আনতে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পথ উন্মুক্ত করতে কাজ করছে। তবে, তিনি স্বীকার করেছেন যে, অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে সাময়িকভাবে তৃতীয়পক্ষীয় আলোচনা বন্ধ রয়েছে। চীন আরাকান আর্মি সহ সকল আঞ্চলিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
বাংলাদেশ সম্পর্কে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি:
ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে দেখে এবং বিশ্বাস করেন যে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারে পৌঁছাবে। তিনি আরও বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ ও চীনের দৃষ্টিভঙ্গি একই, যা তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।
উল্লেখ্য যে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি বহুমুখী প্রকল্প যাতে বাঁধ নির্মাণ, সেচ ব্যবস্থা উন্নত করা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ছিল, তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ, চীন এবং ভারতের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে।