পাবনা-ঈশ্বরদীতে কাটা হচ্ছে জীবিত গাছ মরা গাছ কাটার টেন্ডার পেয়ে

প্রকাশকালঃ ১৪ জুন ২০২৩ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ ২০০ বার পঠিত
পাবনা-ঈশ্বরদীতে কাটা হচ্ছে জীবিত গাছ মরা গাছ কাটার টেন্ডার পেয়ে

পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কে থাকা বড় ও মাঝারি আকারের ৫৯টি রেইনট্রি কড়ইগাছ বন কর্মকর্তাদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ না করেই পানির দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওয়ার্ক অর্ডারে মরা ও শুকনো গাছ কাটার অনুমতি থাকলেও ঠিকাদারের লোকজন তাজা গাছগুলো কাটছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানতে পেরে কেটে ফেলা গাছের টুকরোগুলো জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানা পুলিশকে খবর দিয়েছেন ঈশ্বরদী বন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন।

মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা মরা ও শুকনো গাছ কাটার নামে তাজা গাছ কাটার ঘটনাটি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও জনপথ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ, আরবরি কালচারাল রাজশাহীর এসডিই গোবিন্দ গেইন ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ।


সড়ক ও জনপথ পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী ও আরবরি কালচারাল রাজশাহীর এসডিই কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর কালের কণ্ঠে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বহরপুর থেকে দাশুড়িয়া পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বড় ও মাঝারি আকারের অর্ধশতাধিক শুকিয়ে যাওয়া গাছ নিয়ে নিউজ হয়। পরে সংবাদ দেখে গাছগুলো সার্ভে করা হয়। এতে প্রাথমিকভাবে বড় ও মাঝারি আকারের ৫৯টি গাছ কাটার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে কুষ্টিয়ার মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৭১ হাজার টাকা দর প্রদানের মাধ্যমে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

গাছ কাটা সর্দার কুষ্টিয়ার জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারের লোকজন আমাদের যে গাছগুলো কাটতে বলছেন আমরা সেই গাছগুলো কাটছি।’


দরপত্রের মাধ্যমে গাছগুলো কেটে নেওয়ার ওয়ার্ক অর্ডারপ্রাপ্ত ঠিকাদার বকুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লিটন বলেন, ‘স্থানীয়দের অনুরোধে তাদের বাড়ি প্রবেশে সমস্যা হওয়া ও বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে থাকা তিনটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।’


ঈশ্বরদী উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গাছগুলো পানির দরে বিক্রয় করা হয়েছে। গাছগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।’

সওজ, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, পাবনা-দাশুড়িয়া মহাসড়কের মরা ও শুকনো গাছগুলো কেটে ফেলতে রাজশাহী আরবরি কালচারাল থেকে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তবে ঠিকাদারের লোকজন মরা ও শুকনো গাছের পরিবর্তে তাজা গাছ কেটেছে বলে শুনেছি।


রাজশাহী আরবরি কালচারালের এসডিই গোবিন্দ গেইন বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে শুকনো ও মরা গাছ কাটার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তাজা গাছ কাটার বিষয়টি দুঃখজনক।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, মহাসড়কের মরা ও শুকনো গাছের পরিবর্তে তাজা গাছ কেটে ফেলার খবরটি শুনেছি। বিষয়টিতে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাছ কাটার ঠিকাদার কুষ্টিয়ার বকুল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বকুল বলেন, ‘আমার লোজনকে মরা ও শুকনো গাছ কাটতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কেন তাজা গাছ কেটেছে আমার জানা নেই। আর যেন তাজা গাছ কাটা না হয়ে সেদিকে নজর রাখা হবে।’