|
প্রিন্টের সময়কালঃ ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:১৫ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ১২ মার্চ ২০২৫ ০৩:২৩ অপরাহ্ণ

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ হত্যাকাণ্ড: ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দম্পতির স্বীকারোক্তি


হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ হত্যাকাণ্ড: ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দম্পতির স্বীকারোক্তি


ঢাকা প্রেস নিউজ

 

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডের পেছনে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
 

তিনি জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে টাকা-পয়সার ব্যাগ হারিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়া এক দম্পতিকে সাহায্যের নামে নিজের বাসায় নিয়ে যান সাইফুর রহমান। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের উত্তরখানের ভাড়া বাসায় রাখলেও তার আসল উদ্দেশ্য ছিল তরুণীর প্রতি যৌন আগ্রহ।
 

গত রোববার রাতে সাইফুর রহমান ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার স্বামী প্রতিবাদ করেন। এতে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে নাজিম হোসেন রান্নাঘর থেকে ধারালো বঁটি এনে সাইফুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান।
 

পুলিশ জানায়, ১১ মার্চ ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন মো. নাজিম হোসেন (২১) ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতি (২৩)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি চাবির রিং ও একটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড উদ্ধার করা হয়। হত্যার সময় ব্যবহৃত বঁটি, চাকু, রক্তমাখা জামা-কাপড় ও বিছানার চাদর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
 

ডিসি মহিদুল ইসলাম জানান, হত্যার ঘটনার দুই-তিন দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাইফুর রহমানের সঙ্গে নাজিম ও রুপার পরিচয় হয়। এরপর তিনি তাদের বাসায় নিয়ে আসেন এবং রুপাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন করেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে একই বিছানায় ছিলেন সাইফুর, নাজিম ও রুপা। রাতে নাজিম ঘুমিয়ে পড়লে সাইফুর রুপাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে নাজিম সাইফুরকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন।
 

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
 

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া ১১ মার্চ উত্তরখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি হত্যা হিসেবে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। আদালতের ট্রায়ালে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫