ঢাকা প্রেস নিউজঃ
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে এই মামলায় তাদের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের লভ্যাংশ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা চলছে। ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালত আজ বুধবার অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।
২০২৩ সালের ৩০ মে দুদক গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎয়ের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে যে, আসামিরা গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট করে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি হিসাব খুলে ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করে।
এরপর অসৎ উদ্দেশ্যে কর্মচারীদের না জানিয়ে মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদান করা হয়।
আদালত অভিযোগ গঠন করেছে এবং মামলার বিচার শুরু হয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।