নিচের দিকে সরকারের সুর ভিসানীতির পর: ফখরুল

প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ১২:২২ অপরাহ্ণ ৬২ বার পঠিত
নিচের দিকে  সরকারের সুর ভিসানীতির পর: ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েক দিন আগে কত লাফালাফি। এখন তা কমেছে। সরকারের সুরও এখন নিচের দিকে নেমে এসেছে।

আজ সোমবার রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউিশনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। কয়েক দিন আগে কত লাফালাফি। এখন তা কমে এসেছে। সুর নিচের দিকে নেমে এসেছে।


এখন কথা বলা হচ্ছে, সংঘাত তো চাই না, আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই তো করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

জনগণ যেন ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থাই আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জনগণ যেন ভোট দিয়ে নিজের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সেটি আমরা চাই।

বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মসূচিতে সরকারের বাধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে নিপুণ রায় চৌধুরীকে আহত করা হয়েছে।


নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলায় খায়রুল কবির খোকন ও শিরিন সুলতানাকে মামলা দেওয়া হয়েছে। গায়েবি তো আছেই। কোনো কিছুই ঘটবে না তাও মামলা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কয়েক বছর ধরে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। লড়াই এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সরকার বিভিন্ন অপপ্রচার করবে। অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে, অতীতেও তারাই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তাই সবাইকে খুব সাবধান থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনকে আরো বেগবান করে সরকারে পতন ঘটাতে হবে।


মির্জা ফখরুল বলেন, হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্র রেমিট্যান্স আসা বাড়তে শুরু করেছে। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার। এখন কী একটা জাদু তৈরি হলো যে আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স আসছে। মানুষ বলছে চুরির টাকা এখন দেশে ফেরত আনা হচ্ছে। কারণ এতে আড়াই পার্সেন্ট পাবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোট চোরদের রুখতে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি করেছে। আপনাদেরকেও এখন থেকে সজাগ থাকতে হবে। কারা ভোট চোর তাদের তালিকা করতে হবে। সরকারের অপকর্মের ছবি তুলে ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে এবং বিএনপির অফিসে তা পাঠিয়ে দিতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপত্বি এবং দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সহসম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান ওমর, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, সাদেক আহমেদ খান, হেলেন জেরিন খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।