নিয়মিত হাঁটার পরও ওজন না কমার কারন ও করণীয়!

প্রকাশকালঃ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৫২ অপরাহ্ণ ১৯০ বার পঠিত
নিয়মিত হাঁটার পরও ওজন না কমার কারন ও করণীয়!

হাঁটা সুস্থ থাকার জন্য একটি অনন্য উপায়। ওজন কমানো, হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করা, এবং মানসিক চাপ কমাতে হাঁটার চেয়ে ভালো বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে, অনেকেই নিয়মিত হাঁটার পরও তেমন লাভ পান না। কারণ, হাঁটার সময় কিছু সাধারণ ভুল করে থাকেন। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে হাঁটার উপকারিতা অনেক বেশি পাওয়া সম্ভব।

চলুন, হাঁটার সময় করা কিছু সাধারণ ভুল এবং সেগুলো এড়ানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

 

মিষ্টি খাওয়া

হার্ভার্ড হেলথের রিপোর্ট অনুযায়ী,  প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটলে ভালো থাকে হার্ট। এমনকি হাঁটলে দ্রুত ঝরে মেদও। তাই নিয়মিত হাঁটা জরুরি। তবে হাঁটার আগে বা পরে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে হাঁটার কোনো লাভ হবে না। কারণ, মিষ্টিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

 

হাঁটার টার্গেট পূরণ না করা

যদি হেঁটেই এক্সারসাইজের কোটা পূরণ করতে চান, তাহলে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব হাঁটতেই হবে। না হয় প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি ঝরবে না। ওজন ঝরাতে হলে নির্দিষ্ট দূরত্ব হাঁটা জরুরি। প্রথমে ৩ কিমি হাঁটা দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে ৪ কিমি পর্যন্ত বাড়ান।

 

গতি কম রাখা

শুধু হেঁটে শরীর ফিট রাখতে হলে হেলেদুলে, আস্তে-ধীরে হাঁটলে চলবে না জোরে হাঁটা (ব্রিস্ক ওয়াকিং) জরুরি।

 

এনার্জির ঘাটতি

অনেকে হাঁটার সময় এনার্জির অভাব বোধ করলে ডায়েটে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট যোগ করুন।  তাহলেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি মিটে যাবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এই নিয়ম মেনে চললে এড়ানো যাবে ডিহাইড্রেশন।

 

ওয়ার্ম আপ ও কুল ডাউন না করা

হাঁটার আগে ওয়ার্ম আপ এবং পরে কুল ডাউন করতে ভুলবেন না। কারণ হাঁটার আগে ওয়ার্ম আপ ঠিকমতো না করলে মাংসপেশি শক্ত হয়ে থাকবে। ফলে হাঁটার সময় টান ধরার আশঙ্কা বাড়বে। একইভাবে হাঁটা শেষের পর কুল ডাউন না করলেও মাংসপেশিতে টান ধরা এবং অন্যান্য সমস্যা এড়ানো যাবে।

 

নিয়মিত হাঁটার পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।