ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশকালঃ ৩১ আগu ২০২৩ ০৬:৩৭ অপরাহ্ণ ২৭৯ বার পঠিত
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ শহর এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও এই অর্থ ব্যবহৃত হবে।

বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ‘আরবান হেলথ, নিউট্রিশন ও পপুলেশন প্রজেক্ট’ শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। এই অর্থ শুধু ডেঙ্গু প্রতিরোধ নয়, শহরের অন্যান্য নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার কাজেও খরচ করা হবে। যেমন শহরের বস্তি এলাকার নাগরিকদের পুষ্টিমান উন্নয়নেও কর্মসূচি নেওয়া হবে।


এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে নানা কার্যক্রম। সেই সঙ্গে সরাসরি চিকিৎসাসেবাও মিলবে এসব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে। শহরাঞ্চলের পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৫ লাখ শিশু এসব কেন্দ্র থেকে সেবা পাবে।

বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশ অঞ্চলের প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। কিন্তু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা-সুবিধা অপ্রতুল। সে কারণে দরিদ্র মানুষ ও বস্তিবাসীরা অনেক সময় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া শহরে জনঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে বা জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত নগরায়ণের কারণে নতুন নতুন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যেমন ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের প্রকোপ।’


নারীদের গর্ভকালীন সেবার পরিসর বৃদ্ধি করাও এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহরাঞ্চলের আড়াই লাখ নারীকে গর্ভাবস্থায় অন্তত চারবার চেকআপের ব্যবস্থা করা হবে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা উন্নত করাও এ প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য। ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে এই সেবা দেওয়া হবে।

দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের মানোন্নয়ন করা হবে, যার মধ্যে আছে সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে ওষুধের দোকান ও পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি, নারায়ণগঞ্জ সিটি, সাভার ও তারাব পৌরসভা এলাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।