সালাত আদায়ে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

প্রকাশকালঃ ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৬:১৫ অপরাহ্ণ ২০৫ বার পঠিত
সালাত আদায়ে মনোযোগ ধরে রাখার উপায়

মল ও ইবাদতের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনার গভীর সম্পর্ক আছে। মনের গহিনে যদি চিন্তার বৃষ্টি বর্ষিত না হয়, তাহলে হৃদয় ঊষর মরুতে পরিণত হয়। সেখানে প্রশান্তির ফুল ফোটে না। শারীরিক ইবাদত পালন করলেও মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় না।

তাই শারীরিক ইবাদতের পাশাপাশি মনোযোগ ও ধ্যানমগ্ন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য দু-দুজন বা এক-একজন করে দাঁড়াও। অতঃপর চিন্তা-ভাবনা করো।’ (সুরা : সাবা, আয়াত : ৪৬)

ইবাদত পালনের সময় চিন্তা করে দেখতে হবে—আমি কতটুকু মনোযোগী হয়ে ইবাদত করছি, ইবাদত সুন্নাহ মোতাবেক হচ্ছে কি না, কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হচ্ছে কি না, এটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হচ্ছে কি না ইত্যাদি।


ইবাদতের সঙ্গে মনো-ভাবনাজগতের যোগসূত্র তৈরি করতে বলেছেন মহানবী (সা.)। তিনি বলেন, ‘যখন তুমি সালাতে দাঁড়াবে, তখন ওই সালাত নিজের জীবনের শেষ সালাত মনে করে আদায় করবে।’ (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ৪১৭১)

প্রকৃত ঈমানদার চিন্তার ইবাদতে সদা তৎপর থেকে সাধ্যানুযায়ী পাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করেন, আল্লাহর জিকিরে অন্তর সদা সিক্ত রাখেন এবং অনুভূতি নিয়ে ইবাদত পালন করেন। কেননা, অমনোযোগীর ইবাদত কবুল হয় না।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জেনে রেখো! আল্লাহ গাফিল ও অমনোযোগী মনের দোয়া কবুল করেন না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৭৯)


বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (সা.) বলেন, ‘অমনোযোগী হয়ে সারা রাত নফল সালাত আদায় করার চেয়ে চিন্তা-ভাবনাসহ দুই রাকাত সালাত আদায় করা উত্তম।’ (ইহয়াউ উলুমিদ্দিন : ৪/৪২৫)

মনে রাখতে হবে যে একজন মুসলিম চিন্তা-ভাবনা ও ইবাদতের মধ্যে সমন্বয় করে। যতটুকু সময় ইবাদতে ব্যয় করবে, তা চিন্তা-ভাবনা ছাড়া ব্যয় করবে না। বরং উভয়টি একত্রে করবে।

অন্যদিকে চিন্তার ইবাদতে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে একদল মানুষ এটাকে অপব্যাখ্যা করে থাকে। আর অনেকে মূল ইবাদত থেকে সরে গিয়ে কোয়ান্টাম মেথড, মুরাকাবা, ধ্যান প্রভৃতি আবিষ্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পথভ্রষ্ট করে থাকে।

মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।