ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মচমচে তৈরির পদ্ধতি

প্রকাশকালঃ ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৭ অপরাহ্ণ ১৬৩ বার পঠিত
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মচমচে তৈরির  পদ্ধতি

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এমন একটি স্ন্যাক যা বাড়িতেই সহজে বানিয়ে নেওয়া যায়। পদ্ধতিটা তো সহজই। কিন্তু সমস্যা হলো মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটা পাওয়া যায় না।

বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, ফুড কর্ণারে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের স্বাদের পার্থক্য গড়ে দেয় সস আর মচমচে ভাব। এক্ষেত্রে বাড়িতে অনেকেই হতাশ হন। তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। কিছু টিপস অনুসরণ করলে সহজেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করা যাবে মচমচে। 

সঠিক আলু বাছাই
আমরা সচরাচর আলুর জাত বা ধরন সম্পর্কে এত সচেতন নই। যদিও দেশি আলু আর কিছু বাহ্যিক পরিবর্তনের ভিত্তিতে আলুকে চিহ্নিত করতে পারি। তবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্য এমন আলু বাছাই করা জরুরি যাতে স্টার্চ কম। প্রতিনিয়ত ব্যবহারে বুঝতেই পারি। স্টার্চ অনেক সময় ঝরিয়েও নেওয়া যায়। তবে কাজটা অনেক সময় নেয়। তাই এমন আলু খুঁজুন যাতে স্টার্চ কম। 

স্টার্চ সরানোর কায়দা
আলু লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। আলু কাটার জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। আজকাল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কাটার হিসেবে একটা গ্যাজেটও পাওয়া যায়। সেটা হলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হবে সমান। সমান আকারের করা জরুরি। অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্টার্চ সরাতে অবশ্যই ঠান্ডা পানিতে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। তাহলেই স্টার্চ পানিতে মিশে যাবে। তারপর আলু পানি থেকে তুলে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি ভালো তোয়ালেতে পানি সরানোর সুবিধা আছে। 


পানি ঝরিয়েই ভাজতে নেই
পানি থেকে তুলে সরাসরি তেলে ভাজতে নেই। কারণ আলু থেকে পানি দ্রুত সরে না। ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে বা ভাপিয়ে নিতে পারলে আলুর স্টার্চ আরেকটু কমবে। 


প্রথমে ভাজুন মাঝারি আঁচে
ভালো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্থাৎ মুচমুচে করতে হলে দুই দফায় ভাজা দরকার। প্রথম দফায় মাঝারি আঁচে ভেজে তুলে নিন। তারপর ডুবো-তেলে ভেজে নিন। এই দুই দফায় ভাজলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মচমচে হবেই। 

বিকল্প ভরসা এয়ার ফ্রায়ার
এয়ার ফ্রায়ারের অনেকগুলো গুণ আছে। আর মচমচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পেতে হলে এয়ার ফ্রায়ার সবচেয়ে ভাল। অল্প তেলে প্রচুর ময়েশ্চার তুলে নিয়ে মচমচে করে দিবে। একবার হয়ে গেলে আপনার স্বাদমত সস বা সিজনিং ব্যবহার করুন।