ঢাকা প্রেস
শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস্ কমপ্লেক্সের গ্যালারি কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রসাশক ড. হাবিবুল ইসলাম।
এছাড়াও লেখক ফোরামের উপদেষ্টা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. শরিফুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা ও আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন তরুণ লেখক ফোরামের সভাপতি জনাব ইমরান লস্কর।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোনালিসা মুজিব মিম ও মো. ইয়াসিন মিয়া।
অনুষ্ঠানে নবীন সদস্যদের বরণের পাশাপাশি সেরা উদীয়মান লেখক, বর্ষসেরা লেখক ও পূর্বে অনলাইনে চলমান ।
উন্মুক্ত সাহিত্য প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এরপর শুরু হয় বক্তব্যপর্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, পত্রিকায় কলাম পাঠালে প্রকাশ হয়,আমারও হয়। কিন্তু ফোরামের সাথে যুক্ত থাকবো কেন?
ফোরামের সাথে যুক্ত থাকলে এই কলামগুলোর পর্যালোচনা হয়। ত্রুটি বিচ্যুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভুলগুলো শুধরে লেখালেখিতে আরও উন্নতি করা যায়।
এর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রসাশক মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিজের সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য যে কয়টি জায়গা রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরাম অন্যতম। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে যুক্ত থাকলে তোমাদের দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ফেসবুক নামক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোমাদের মূল্যবান সময় যেন শেষ করে না দেয়। এজন্য অবসর সময়ে তোমরা নতুন নতুন লেখনী লিখবে।’ এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের করা প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম একটি অরাজনৈতিক, লেখালেখি-বিষয়ক সামাজিক সংগঠন। একটি কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় বর্তমানে সারা দেশে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোরামের সক্রিয় কার্যক্রম চলমান আছে।
দপ্তর সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ১৫৭ জন নতুন সদস্য নিবন্ধন করেছেন।