|
প্রিন্টের সময়কালঃ ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০১:০০ অপরাহ্ণ     |     প্রকাশকালঃ ২২ জুলাই ২০২৩ ১২:২৪ অপরাহ্ণ

সুলায়মান (আ.) বিচারকার্যে যেমন ছিলেন


সুলায়মান (আ.) বিচারকার্যে যেমন ছিলেন


সুলায়মান (আ.) দাউদ (আ.)-এর পুত্র ছিলেন। পিতার মতো তিনিও নবী ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে নবুয়ত, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও তাঁর পিতার রাজত্বের স্থলাভিষিক্ত করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে বাল্যকালেই গভীর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি দান করেছিলেন।

বকরিপালের মালিক ও শস্যক্ষেতের মালিকের মধ্যে পিতা দাউদ (আ.) বিরোধ মীমাংসা করেছিলেন, বালক সুলায়মান তাঁর চেয়ে উত্তম ফয়সালা করেছিলেন। ফলে দাউদ (আ.) নিজের আগের রায় বাতিল করে পুত্রের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। (দেখুন, সুরা : আম্বিয়া, আয়াত :  ৭৮-৭৯)

এ ছাড়া হাদিসে এসেছে, দুজন নারীর দুটি সন্তান ছিল। একদিন নেকড়ে বাঘ এসে একটি বাচ্চাকে নিয়ে যায়।


তখন প্রত্যেকে বলল, তোমার বাচ্চা নিয়ে গেছে, যেটি আছে ওটি আমার বাচ্চা। বিষয়টি ফয়সালার জন্য ওই দুই নারী দাউদ (আ.)-এর কাছে এলো। তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ নারীর পক্ষে রায় দেন। তখন তারা বেরিয়ে সুলায়মান (আ.)-এর কাছে আসে এবং সব কথা খুলে বলে।

সুলায়মান (আ.) তখন একটি ছুরি আনতে বলেন এবং বাচ্চাটাকে দুই টুকরা করে দুই নারীকে দিতে চাইলেন। তখন কনিষ্ঠ নারী বলল, আল্লাহ আপনাকে অনুগ্রহ করুন, বাচ্চাটি ওই নারীর। তখন সুলায়মান (আ.) কনিষ্ঠ নারীর পক্ষে রায় দেন। (বুখারি, হাদিস : ৬৭৬৯ ও ৩৪২৭)

এভাবে কৌশলে তিনি সত্য উদঘাটন করেছিলেন।

শিক্ষা
১.  হেকমত ও বিজ্ঞতার জন্য বয়স শর্ত নয়। কখনো বয়সে ছোট ব্যক্তিও বেশি প্রজ্ঞাবান হতে পারে।

২.  আলোচ্য ঘটনা থেকে সুলায়মান (আ.)-এর বিচক্ষণতা প্রমাণিত হয়।

৩.  প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা ন্যায়বিচারের পূর্বশর্ত।

৪.  সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা অপরিসীম।

৫.  বিচারকের জন্য পুঁথিগত জ্ঞানের পাশাপাশি বাস্তবধর্মী ও কৌশলী জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।


সম্পাদকঃ সারোয়ার কবির     |     প্রকাশকঃ আমান উল্লাহ সরকার
যোগাযোগঃ স্যুইট # ০৬, লেভেল #০৯, ইস্টার্ন আরজু , শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি, ৬১, বিজয়নগর, ঢাকা ১০০০, বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ   +৮৮০ ১৭১১৩১৪১৫৬, টেলিফোনঃ   +৮৮০ ২২২৬৬৬৫৫৩৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫