ক্যান্সার প্রতিরোধ সচেতনতা

প্রকাশকালঃ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ ৩৩৬ বার পঠিত
ক্যান্সার প্রতিরোধ সচেতনতা

ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ যা শরীরের যেকোনো অংশে হতে পারে। কিন্তু সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেকটা সফল হতে পারি।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

ধূমপান ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই ধূমপান ত্যাগ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ফলমূল খাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন: তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি পরিহার করা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।অতিরিক্ত ওজন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই সুস্থ ওজন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।অতিরিক্ত মদ্যপান ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই মদ্যপান পরিহার করা বা পরিমিত করা উচিত।নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি শনাক্ত করা সম্ভব, যা ক্যান্সারের সফল চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য।ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জ্ঞান প্রচার করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার প্রতিরোধে সকলের সচেতনতা ও সহযোগিতা ক্যান্সারমুক্ত সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়।বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং ১ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়।ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলি হলো: ফুসফুসের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, এবং মুখগহ্বরের ক্যান্সার।ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা, স্ক্রিনিং, এবং জীবনধারা পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।