ঢাকা প্রেস নিউজ
চীন ও জাপানের পর এবার মালয়েশিয়ায়ও ছড়াচ্ছে মানব মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের ভাইরাসটি ইতোমধ্যে অনেক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এটি করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাগরিকদের মাস্ক পরিধান এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০২৫ সালে নতুন মহামারি দেখা দিতে পারে। যদিও নির্দিষ্ট কোনো রোগের নাম নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে এইচএমপিভির দ্রুত ছড়িয়ে পড়া তাদের চিন্তিত করছে।
চীনে ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলোতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেশি। জাপানেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যেখানে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ সম্প্রতি ফ্লু জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সতর্ক করলেও, এইচএমপিভি সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, যা তথ্য গোপনের আশঙ্কা তৈরি করছে।
এইচএমপিভি প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। এটি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা উপর ও নিচের শ্বাসতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। সাধারণত বাচ্চা, বয়স্ক এবং দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
এই ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। গুরুতর সংক্রমণে ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড সাধারণত ৩-৬ দিন। সংক্রমণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো স্থায়ী হতে পারে ভিন্ন সময়ের জন্য।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এখনো এই ভাইরাসের কোনো টিকা নেই। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলার সময় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো মেনে চললে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে:
এভাবেই এইচএমপিভির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।