ঢাকা প্রেস নিউজ
বাংলাদেশ থেকে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির নামে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে সাবেক একজন অর্থমন্ত্রীসহ চারজন সাবেক সংসদ সদস্য জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এই চারজন মিলে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নাম করে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিস্তারিত:
সিন্ডিকেট: এই চারজন মিলে একটি সিন্ডিকেট গঠন করে এই দুর্নীতি চালিয়েছে।
অতিরিক্ত ফি: সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অনেক বেশি অর্থ কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভুয়া প্রতিশ্রুতি: কর্মীদের চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কর্মী ফেরত: অনেক কর্মী মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ না পেয়ে ফিরে এসেছে।
লাইসেন্স: এই চারজনের মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সিগুলি খুব কম সময়েই বিপুল সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন: জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্বিষহ অবস্থা সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের তদন্ত:
দুদকের তিন সদস্যের একটি দল এই ঘটনার তদন্ত করছে। তারা এই চক্রের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছে।
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাতে ব্যাপক দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছে। এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা জরুরি।