রাজউকের জোন ৪ ও জোন ৫-এর আওতাধীন মাদানী এভিনিউ এবং কামরাঙ্গীরচর এলাকায় পৃথক দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা, ১২টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৪টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ লিটন সরকারের নেতৃত্বে জোন ৪/১ ও ৪/২-এর আওতাধীন মাদানী এভিনিউ, ভাটারা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোট ৮টি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, ৭টি ভবন ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছে। এসব ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা হয় এবং অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণ করা হয়।
একটি ভবনের মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি, অন্যান্য ভবন মালিকদের কাছ থেকে ভবন নির্মাণে ভবিষ্যতে অনুমোদিত নকশা লঙ্ঘন না করার শর্তে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
এই অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ কায়সার পারভেজ ও রাজিবুল ইসলাম, সহকারী অথরাইজড অফিসারগণ, প্রধান ইমারত পরিদর্শকসহ উচ্ছেদ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অপরদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা পারভিনের নেতৃত্বে কামরাঙ্গীরচর মাহাদীনগর ০২ নম্বর রোড এলাকায় রাজউকের জোন ৫/৩-এর অধীনে আরও একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এখানে ৭টি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে ৫টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ৬টি মিটার জব্দ করা হয়।
নকশা লঙ্ঘনের দায়ে মালিকদের মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে অনুমোদিত নকশার বাইরে কোনো নির্মাণ না করার অঙ্গীকারে ৩০০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অথরাইজড অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান খান, সহকারী অথরাইজড অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।